গাউট বা গেটেবাতে কি কি খাবার এড়িয়ে চলবেন?

গাউট বা গেটেবাতে কি কি খাবার এড়িয়ে চলবেন?

গাউট বা গেটেবাত হাড়ের জয়েন্ট বা জোড়াগুলোর এক ধরনের প্রদাহজনিত রোগ। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই (৯৫%) গাউট রোগের উৎপত্তির কারণ এখনো অজানা। রক্তে ইউরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে তা জয়েন্টে স্ফটিক (crystal) আকারে জমা হয়ে গাউট রোগের উপসর্গ দেখা দেয়।

ইউরিক এসিড কিভাবে তৈরি হয়?
প্রোটিন জাতীয় খাবার ভেঙে পিউরিন এবং পাইরিমিডিন তৈরি হয়। এই পিউরিন ভেঙে ইউরিক এসিড তৈরি হয়। ইউরিক এসিড প্রস্রাবের সাথে শরীর থেকে বের হয়ে যায়। কোন কারণে শরীরে অতিরিক্ত ইউরিক এসিড তৈরি হলে বা কিডনি দিয়ে প্রস্রাবের সাথে বের হয়ে যেতে না পারলে তার পরিমাণ রক্তে বেড়ে যায়। 

গেটেবাতে করনীয় কী?
দীর্ঘমেয়াদী সুস্বাস্থ্য রক্ষায় খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন, ওজন কমানো, শরীর চর্চা এবং এলকোহল বা মদপানের অভ্যাস পরিত্যাগ বাঞ্ছনীয়।

কী কী খাবার এড়িয়ে চলতে হবে?
– লাল মাংস (গরু/খাসি/ভেড়া/মহিষ) (Red meat)
– কলিজা, তিল্লী, গুর্দা ইত্যাদি (Organ meat)
– চিনিযুক্ত কোমল পানীয়, জুস
– এলকোহল, এনার্জি ড্রিংক

স্পোর্টস ইনজুরি বা খেলাধুলাজনিত আঘাতের প্রাথমিক করনীয়

স্পোর্টস ইনজুরি বা খেলাধুলাজনিত আঘাতের প্রাথমিক করনীয়

স্পোর্টস ইনজুরি বা খেলাধুলাজনিত আঘাত এথলেট বা পেশাদার খেলোয়াড়দের জন্য একটি সচরাচর ঘটনা হলেও সাধারণ রোগীরা নানান ধরনের স্পোর্টস ইনজুরি যেমন, হাঁটু, গোড়ালি, কবজি, কাঁধ মচকানো অথবা ভেঙে যাওয়া নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে থাকেন। তাৎক্ষণিক এবং সঠিক প্রাথমিক চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদী জটিলতা কমাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

সাধারণ স্পোর্টস ইনজুরিসমূহঃ 

  • মাংসপেশীতে টান / খিচ ধরা।
  • গোড়ালি মচকানো।
  • হাঁটু মচকানো।
  • কবজি মচকানো।
  • কাঁধের হাড় সরে যাওয়া।
  • হাঁটুর লিগামেন্ট (এসিএল, পিসিএল, মেনিস্কাস, কোল্যাটেরাল) ছিঁড়ে যাওয়া।
  • হাতের কবজি, পায়ের গোড়ালি বা হাঁটুর হাড় ভেঙে যাওয়া।

আঘাতের লক্ষণসমূহঃ 

  • ব্যথা- মাঝারি থেকে তীব্র হতে পারে। 
  • আক্রান্ত জোড়া বা অঙ্গ ফুলে যাওয়া।
  • কালচে/ লাল হয়ে যাওয়া।
  • চাপে ব্যথা অনুভব করা।
  • আক্রান্ত অঙ্গের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া।
  • আক্রান্ত অঙ্গের অস্বাভাবিক নড়াচড়া (ভেঙে যাওয়ার ক্ষেত্রে)

প্রাথমিক চিকিৎসাঃ

  • আক্রান্ত অঙ্গকে নড়াচড়া না করা।
  • বরফ দিয়ে সেক দেয়া 
  • চাপ দিয়ে ধরে রাখা। 
  • আক্রান্ত অঙ্গকে উঁচু করে রাখা।

ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল বা ননস্টেরয়ডাল এন্টি-ইনফ্লামাটরি ড্রাগস ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে যে কোন ঔষধই রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করা উচিত।

কখন অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করবেন? 

  • প্রাথমিক চিকিৎসা অথবা পরবর্তী চিকিৎসার জন্য।
  • হাড় ভেঙে গেলে।
  • জোড়া মচকে যাওয়ার সঠিক চিকিৎসার জন্য।
  • লিগামেন্ট ছিড়ে যাওয়ার সঠিক চিকিৎসার জন্য।