রিকেটস রোগে শিশুদের হাড়ের গঠন দুর্বল হয়, হাড় বাঁকা হয়ে যায়। এছাড়াও শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্থ হয়।
রিকেটস এর লক্ষণ
- শিশুর পা বাঁকা হওয়া
- হাতের কবজি এবং পায়ের গোড়ালি মোটা হয়ে যাওয়া
- শারীরিক বৃদ্ধি ব্যহত হওয়া
- হাড়ে ব্যথা
- মাংসপেশীর দুর্বলতা
রিকেটস এর কারণসমূহ
প্রধাণত ভিটামিন–ডি এর অভাবে হয়। ছাড়াও ক্যালসিয়াম এর অভাব এবং জিনগত কারনেও রিকেটস হতে পারে।
রিকেটস হয়েছে বোঝা যাবে কিভাবে?
শিশুর শারিরীক পরীক্ষা, ল্যাব ইনভেস্টিগেশন, এক্সরে ইত্যাদির মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা হয়।
চিকিৎসা কিভাবে করা হয়?
মূলত ভিটামিন–ডি, ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট, পুষ্টিকর খাবার, পর্যাপ্ত রোদের আলোয় রাখা রিকেটস চিকিৎসার মূল ভিত্তি। ছাড়াও প্রয়োজনে অন্যান্য ঔষধ, ক্ষেত্রবিশেষে সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।
রিকেটস মূলত শিশুর শারিরীক গঠনে ভিটামিন–ডি, ক্যালসিয়াম এর অভাবে হলেও জিনগত কারন, অপর্যাপ্ত রোদের আলো, অপুষ্টিকর খাবার, গর্ভবতী মায়ের অপুষ্টি এবং ভিটামিন–ডি এর ঘাটতির কারনেও হতে পারে। রিকেটস প্রতিরোধে মায়ের গর্ভকালীন সময় থেকেই সচেতনতা জরুরী। শিশুর মধ্যে রিকেটস এর লক্ষন দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।