আপনার সদ্য টিনেজ কিশোর/কিশোরী কি হাটু/কুচকিতে ব্যথার কথা বলছে এবং খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাটছে? হতে পারে সে স্লিপড ক্যাপিটাল ফিমোরাল এপিফাইসিস সমস্যায় ভুগছে।
স্লিপড ক্যাপিটাল ফিমোরাল এপিফাইসিস কী
উরুর হাড়ের উপরের অংশে বলের মত দেখতে মাথাটি পেল্ভিসের সকেটে বসে হিপ জয়েন্ট তৈরি করে। জন্মের পর গোল বলের মাথাটি উরুর হাড়ের সাথে সরাসরি সংযুক্ত থাকে না। এর মাঝে থাকে গ্রোথ প্লেট (যেখানে নতুন হাড় তৈরি হয়) যাকে বলা হয় ফাইসিস। এর উপরের অংশকে বলা হয় এপিফাইসিস। এই এপিফাইসিস যদি কোন কারনে পেছন দিকে সরে যায় তাহলে তাকে স্লিপড ক্যাপিটাল ফিমোরাল এপিফাইসিস।
কাদের হয়ে থাকে?
সাধারণত ১০–১৪ বছর বয়সের কিশোর/কিশোরীদের হয়ে থাকে।
কী কী কারণে হয়ে থাকে?
ক) বয়সন্ধীকালে যখন হঠাৎ দ্রুত শারীরিক বৃদ্ধি হয়ে থাকে তখন হতে পারে।
খ) যাদের পরিবারে ইতোপূর্বে এই ধরণের সমস্যা হয়েছে তাদের ঝুকি বেশি থাকে।
গ) উচ্চতা অনুযায়ী অতিরিক্ত ওজন।
ঘ) হরমোনজনিতঃ হাইপোথাইরয়েডিজম বা গ্রোথ হরমোন ঘাটতি।
লক্ষণ সমূহঃ
১) তীব্র কুচকিতে ব্যথা
২) খুঁড়িয়ে হাঁটা/হাঁটতে না পারা
৩) হাটুতে বা উরুর সামনের দিকে ব্যথা (অনেক ক্ষেত্রে কুচকি ব্যথার দুই সপ্তাহ আগে থেকে হাটুতে ব্যথা হতে পারে)
৪) জয়েন্ট নড়াচড়া করতে কষ্ট হওয়া/না পারা
৫) এক পা ছোট হয়ে যাওয়া।
রোগ নির্ণয়ঃ
সাধারণত শারীরিক পরীক্ষা–নিরীক্ষা, এক্সরে এবং প্রয়োজনে এমআরআই বা বোন স্ক্যান এর মাধ্যমে করা হয়ে থাকে।
চিকিৎসাঃ
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সার্জারি করা হয়ে থাকে। তবে কিছু ক্ষেত্রে (রোগের তীব্রতা অনুযায়ী) পূর্ণ শারীরিক বিশ্রাম এবং ঔষধের মাধ্যমে চিকিৎসা করা সম্ভব।
যদি আপনার বয়সন্ধীকালের কিশোর/কিশোরি হঠাৎ করেই কুচকি ব্যথা, হাটতে কষ্ট হওয়া/না পারা, এক পা ছোট হয়ে যাওয়া সমস্যার কথা বলে, তাহলে আজই একজন বিশেষজ্ঞ অর্থোপেডিক সার্জনের পরামর্শ নিন। মনে রাখবেন, কখনো এই সমস্যা শুধুমাত্র হাটু কিংবা উরু ব্যথা নিয়েও প্রকাশ পেতে পারে।
করণীয়ঃ
আপনার নবজাতক / শিশুর মধ্যে উল্লেখিত কোন ধরণের অসংলগ্নতা পরিলক্ষিত হলে অতিদ্রুত একজন অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।